ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার চৌয়ারফাঁড়ি মাছ বাজারটি বিএনপি নেতার নেতৃত্বে দখল নেওয়ার আট ঘন্টা পর উচ্ছেদ : দেড় শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ

চকরিয়া অফিস :::

চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ চকরিয়ার চৌয়ারফাঁড়ি মাছ বাজারটি বিএনপি নেতা আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে রাতে দখল নেওয়ার আট ঘন্টা পর সকালে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে দখল করা মাছ বাজারটি উচ্ছেদ করে। সেখানে সন্ত্রাসীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে প্রায় দেড় শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারি রাত তিনটায় উপজেলার সা2222হারবিল ইউনিয়নের চৌয়ারফাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চৌয়ারফাঁড়ি মাছ বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে সাহারবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে অর্ধশত সন্ত্রাসী চৌয়ারফাঁড়ি বাজারটি দখল করে। তারা জায়গাটিতে দখল নেওয়ার পর সেখানে আরও ২০টি টিনের দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়। রাত তিনটা থেকে ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে দেড় শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। তাদের ভয়ে স্থানীয় এলাকাবাসিরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। পরে তারা একটি ছাগল জবাই করে ভূরিভোজও খেয়ে অবস্থান করে।

ব্যবসায়িরা আরও জানান, সকাল ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উচ্ছেদ করে দখলবাজদের। তাদের নির্মাণ করা ২০টি দোকানঘরও গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরআগে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার বা জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

স্থানীয় ব্যবসায়িরা জানান, সন্ত্রাসীরা মাছ বাজারটি দখল করার সময় চকরিয়া থানা পুলিশ জানালেও তারা যথা সময়ে আসেনি। মূলত বিএনপি নেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্ক নেওয়ায় ঘটনাস্থলে আসেননি পুলিশ।

চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, চৌয়ারফাড়ি মাছ বাজারটি দখল করে স্থানীয় একটি গ্রুপ। পরদিন সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে দখলবাজদের উচ্ছেদ করা হয়। সেখানে গুলিবর্ষণ করার বিষয়টি তার জানা নেই বলে তিনি জানান।

গত ১২বছর পূর্বে চৌয়ারফাড়িতে মাছ বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে মাছ বাজারটি চৌয়ারবাড়ি মাছ বাজার হিসাবে সারাদেশে খ্যাতি পেয়েছে। দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করে সারাদেশে মাছ পাঠানো হচ্ছে। সেখানে অন্তত শতাধিক দোকানঘর রয়েছে। ২০টির মতো পাল্লা রয়েছে। শতশত ব্যবসায়ি ও কয়েক হাজার শ্রমিক এই বাজার নিয়ে জীবন নির্বাহ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মাছ বাজারটি দখল করার চেষ্ঠা করছিল। ##

পাঠকের মতামত: